রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলার আসামি ড. মিয়া মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল জলিল। আজ রাত ১০টার পর তাঁদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
জাহাঙ্গীর আলমের ভাই সোহরাব আলী গণমাধ্যমকে জানান, কারা কর্তৃপক্ষ তাকে জানিয়েছে ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। কারা কর্তৃপক্ষ তাকে আরও বলেছে, আজ রাতেই লাশ দাফন করার জন্য। তবে তিনি (সোহরাব আলী) বলেছেন, শুক্রবার তারা লাশ দাফন করতে চান।
এর আগে আজ সন্ধ্যার পর থেকেই রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর টহল বাড়িয়ে দেওয়া হয়। কারারক্ষীদের পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করেন পুলিশ সদস্যরাও। কারাগারের প্রধান ফটকের সামনে ভিড় করেন গণমাধ্যমকর্মী এবং উৎসব মানুষও। সন্ধ্যার পর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বেশ কয়েকটি গাড়ি প্রধান ফটক দিয়ে কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করেছে। ঢুকেছে পুলিশেরও গাড়ি। এছাড়া কারাগারের পেছনের ফটক দিয়ে একটি সাদা রংয়ের গাড়ি ভেতরে ঢুকতে দেখা গেছে।
রাবির ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের বরখাস্ত হওয়া সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মহিউদ্দিন ও ড. তাহেরের বাসার তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর আলম প্রায় ১৭ বছর ধরে এ কারাগারে বন্দি আছেন। সকল আইনী প্রক্রিয়া শেষ হওয়ায় কারাবিধি মেনে তাদের এ কারাগারেই ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। গত মঙ্গলবার মহিউদ্দিনের স্বজনেরা যখন শেষবারের মতো সাক্ষাৎ করেন তখন কারা কর্তৃপক্ষ তাদের একটি চিঠি দিয়েছে। এই চিঠি বাড়ি নিয়ে গিয়ে খুলতে বলা হয়। চিঠিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের তারিখ ও সময় লেখা ছিল। সে অনুযায়ী, আজ রাত ১০টা ১ মিনিটে রায় কার্যকর করার কথা।