মর্গের মেঝেতে পড়ে থাকা ছোট্ট সেই শিশুটির পরিচয় পাওয়া গেছে

Spread the love

গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি ভবনে মা-বাবার সঙ্গে গিয়েছিল ছোট্ট শিশুটি। আগুনে মা-বাবাসহ প্রাণ হারায় সেও। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর তার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গের মেঝেতে রাখা হয়। সেখানে তার বুকের কাছে ‘অজ্ঞাতনামা’ সাঁটনো অবস্থায় পড়ে থাকার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে শিশুটির নানা তাকে শনাক্ত করেন।

নানা মুক্তার আলম হেলালি জানান, তিন বছরের ছোট্ট শিশুটির নাম ফাইরুজ কাশেম জামিরা (৩)। তার মায়ের নাম মেহেরুন নিসা জাহান হেলালি (২৪) এবং বাবা শাহজালাল উদ্দিন (৩৪)।

তিনি আরও বলেন, জামাতা শাহজালাল উদ্দিন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ছিলেন। কেরানীগঞ্জের পানগাঁও কার্যালয়ে শুল্ক বিভাগে তিনি কর্মরত ছিলেন। স্ত্রী, সন্তান নিয়ে বাস করতেন বসুন্ধরা রিভারভিউ এলাকায়। তিন দিনের ছুটিতে ওদের খাগড়াছড়ি বেড়াতে যাওয়ার কথা ছিল। মুঠোফোনে দীর্ঘ সময় ওদের খুঁজে না পেয়ে পরে হাসপাতালে যান তিনি।

শনিবার (২ মার্চ) সকালে তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ফাইরুজার খালা মুক্তারুন নিসা হেলালি বলেন, তিনজনের মরদেহ নিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা কক্সবাজারের উখিয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। সেখানে পূর্ব গোয়ালিয়া গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে তিনজনের দাফন হবে।

মুক্তারুন নিসা হেলালি আরও বলেন, ফাইরুজের মা মেহেরুনের জন্মদিন ১৪ সেপ্টেম্বর। একই দিনে ফাইরুজ জন্ম নেয়। গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর মা-মেয়ের জন্মদিন উদযাপন করা হয়। কেউ জানত না তাদের মৃত্যুর দিনটিও এক হবে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১০টার দিকে বেইলি রোডের ভবনটিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এ পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এদের মধ্যে এখন পর্যন্ত মোট ৪৩ জ‌নের মর‌দেহ হস্তান্তর করা হ‌লো। এই ঘটনায় আহতদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজন এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আটজন ভর্তি আছেন। বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি আটজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *