বাউফলে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন

Spread the love

প্রতিনিধি : বাউফল (পটুয়াখালী) :

পটুয়াখালীর বাউফলে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন এক তরুণী। এ ঘটনায় প্রেমিক তুহিন ও তার পরিবারের লোকজন বাড়িতে তালা দিয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন।

শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকাল থেকে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড়ডালিমা গ্রামে প্রেমিক মো. তুহিন গোলদারের ঘরের সামনে অনশনে বসেন ওই তরুণী।

পৌর শহরের ডিজিটাল ডায়াগনস্টিকের পরিচালক প্রেমিক তুহিন ওই গ্রামের মো. ইদ্রিস গোলদারের ছেলে। অনশনে বসা তরুণী উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের পাকডাল গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উপজেলার কালিশুরী নিউ লাইফ কেয়ারের স্টাফ নার্স হিসেবে কর্মরত।

অনশনরত ওই তরুণী জানান, এক বছর আগে তাদের মধ্যে এক বড় আপুর মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ওই তরুণীর কর্মস্থলে রাতযাপন করতেন দুজন। এমনকি প্রেমিক তুহিনের বাড়িতেও একাধিকবার নিয়ে এসেছেন। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন তুহিন। প্রেমিক তুহিন ডায়াগনস্টিক ব্যবসা শুরু করতে তার কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা নিয়েছেন বলেও দাবি করেন ওই তরুণী। সর্বশেষ শুক্রবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে তাকে (তরুণী) প্রেমিক তুহিন তাদের বাড়িতে নিয়ে আসেন। এ বিষয়টি তুহিনের পরিবারের লোকজনের চোখে পড়লে ভোল পাল্টে ফেলেন তুহিন। মারধর করে তাকে বাসা থেকে বের করে দেন তুহিন। পরে তুহিন ও তার পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। তালাবদ্ধ বাড়ির সামনে অবস্থান নেন ওই তরুণী। দুই মাস আগেও একবার বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেন ওই তরুণী। আলোচনা করে বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে আশ্বাস দিয়ে তাকে ফিরিয়ে দেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

অনশনরত তরুণী আরও বলেন, বিয়ের আশ্বাসে ভোগ করেছেন তুহিন। আমার সব শেষ। এখন সে (তুহিন) বিয়ে না করলে আমি আত্মহত্যা করব। অভিযুক্ত প্রেমিক তুহিন ও তার পরিবারের লোকজন আত্মগোপনে থাকায় তাদের কোনো মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে বাউফল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *