তারেক রহমানের ৯ বছর ও জোবায়দার ৩ বছরের কারাদণ্ডের শুনানি

Spread the love

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করেছিল। সেই মামলার জেরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল এর কাছ থেকে জানা যায়, বুধবার বিকেল ৪টা ২ মিনিটে ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আসাদুজ্জামানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
গত ২৭ জুলাই আদালত এ মামলার যুক্তি উপস্থাপন করা শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিনটি ধার্য করা হয়েছিল।
গত ২৪ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম সর্বশেষ সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন আদালতে।এই সাক্ষ্য গ্রহনের মধ্য দিয়েই আদালত সাক্ষ্য গ্রহন শেষ করেন। মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।
চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল একই আদালত তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২)/২৭(১) এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলার বিচার শুরু করার আদেশ দেন। ২৬(২) ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি হল তিন বছরের কারাদণ্ড ও ২৭(১) ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি হল দশ বছরের কারাদণ্ড।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন করা ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এই মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি হিসেবে পেশ করা হয়। তারেক রহমানের শাশুড়ি মারা যাওয়ায় এ মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।